আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান বলেছেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ভন্ডুল করার জন্য দেশে নৈরাজ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করার পায়তারা চালাচ্ছে। সারা পৃথিবীতে যেভাবে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হয় সেভাবেই বাংলাদেশ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচন নিরপেক্ষ ও অবাধ সুষ্ঠু হবে। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মৎস্যজীবী লীগসহ সকল সংগঠন যেভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে। বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক শক্তি আওয়ামী লীগকে আর ধ্বংস করতে পারবে না। বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য শেখ হাসিনা ১৯ বার মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৬টায় ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের আয়োজনে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুর রহমান এসব কথা বলেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আব্দুর রহমান বলেন, নির্বাচন ছাড়া এদেশে ক্ষমতায় আসার কোন পথ নেই। ষড়যন্ত্রের নীলনকশা না করে আপনারা নির্বাচনে আসুন। এলিভেটেড এক্সপ্রেস, পদ্মা সেতুসহ বাংলাদেশের সকল পর্যায়ে শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখে বিএনপির মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। বিএনপি-জামায়াত বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দফা দিয়ে রফায় পরিনত হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ এতো অকৃতজ্ঞ নয় যে, যেই তারেক যে জিয়া ছিলো হাওয়া ভবনের মালিক। সে খুয়াব ভবন তৈরি করে বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে নিয়ে গিয়েছিল। এদেশের মানুষ আর বিএনপি-জামায়াতকে মেনে নিবেনা। বাংলাদেশের মানুষের আশ্রয় ও নিরাপত্তা একমাত্র শেখ হাসিনা সরকারই দিতে পারেন।
নির্বাচনী এলাকাবাসীর উদ্দেশ্য আব্দুর রহমান বলেন, ফরিদপুর-১ আসনে রেল চালু হয়েছে, চন্দনা-বারাশিয়া নদী খনন হয়ে কৃষক ভাইয়েরা সে সুফল ভোগ করছেন। ঘরে ঘরে শতভাগ বিদ্যুৎ চালু হয়েছে, কাঁচা রাস্তা পাকা হয়েছে। আর যে কাজগুলি এই আসনে বাকি আছে, শেখ হাসিনাকে আগামী নির্বাচনে আপনারা আবারো ম্যান্ডেট দিন। আর আমি যদি শেখ হাসিনার পাশে থাকতে পারি তাহলে ফরিদপুর-১ আসনে আমি উন্নয়নের ভরে দিবো ইনশাআল্লাহ।
যুব সমাবেশে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যকালে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক বলেন, নির্বাচনী এলাকায় আব্দুর রহমানের আসার কথা শুনে হাজার হাজার নেতাকর্মীরা ছুটে আসেন। নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে দেখে বুঝা যায় ফরিদপুর-১ আসনে আব্দুর রহমানই এমপি হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। এবার তিনি এমপি হলে মন্ত্রী হবে। সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আরিফ।
বোয়ালমারী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শফিউল্লাহ শাফির পরিচালনায় যুব সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ফরিদপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জিয়াউল হাসান মিঠু এবং বিশেষ বক্তা ছিলেন, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ সুলতান খান রাহাত, জেলা আওয়ামী যুবলীগের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক শরীফ মো. সেলিমুজ্জামান লিটু, জেলা আওয়ামী যুবলীগের সদস্য দাউদুজ্জামান দাউদ।
যুব সমাবেশে সাতৈর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আকবর হোসেন আকুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদুজ্জামান মিন্টু, প্রচার সম্পাদক নিয়াজ জামান সজিব, বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মীরদাহ পিকুল, বোয়ালমারী পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সেলিম রেজা লিপন মিয়া, মধুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বকু, মধুখালী পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোর্শেদ রহমান লিমন, আলফাডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র সাইফুর রহমান, মধুখালী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুরাদুজ্জামান, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জনি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল শিকদার, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ান, সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মৌতুজা আলী তমাল, সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত সিদ্দিকী প্রমুখ।
সমাবেশে দুপুরের পর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটর সাইকেল, নসিমন, করিমনে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা দলে দলে যোগ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের এ শান্তি সমাবেশ আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহমানের সমর্থনে নির্বাচনী জনসভায় পরিণত হয়। সমাবেশে প্রায় ৬-৭ হাজার নেতাকর্মীর সমাগম ঘটে।